بسم الله الرحمن الرحيم
”যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়। “ [সুরা মুলক: ৩]
এই আয়াহ’য় উল্লেখ করা হয়েছে আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের মধ্যে কে সর্বোত্তমভাবে কর্মসম্পাদনকারী তা তিনি পরীক্ষা করেন। আর এখানে ব্যবহৃত أَحْسَنُ عَمَلًا ‘র ব্যবহারে তাই প্রতীয়মান হয়; এখানে বলা হয়নি “আকছারু আ’মালা” অর্থ্যাৎ অধিক কর্মসম্পাদনকারী। এখানে ইবাদাহ্’র পরিমাণের চেয়ে গুণগত মানকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। আ’মালের মধ্যে সর্বোত্তম। মুহাম্মদ বিন আজলান এর মতও এটাই। এটা খেয়াল রাখতে হবে যে, আল্লাহ্ তা’আলা বলেননি, “তোমাদের মধ্যে কে বেশী কর্মসম্পাদনকারী”? এরপরেই আল্লাহ্ তা’আলা বলেন,”তিনি পরাক্রমশালী, দয়ালু”। এখানে আল্লাহ্’র পরাক্রমশালীতার পাশাপাশি ক্ষমার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যত্র একটি আয়াত এসেছে:
"আমি পৃথিবীস্থ সব কিছুকে পৃথিবীর জন্যে শোভা করেছি, যাতে লোকদের পরীক্ষা করি যে, তাদের মধ্যে কে ভাল কাজ করে।" [সুরা কাহফ:০৭]
অনুরুপভাবে আমরা হাদীসে জিবরীলে দেখি ইহসানের সংজ্ঞা:
"তারপর বললেন, আমাকে ইহসান সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ইহসান হলো, এমনভাবে ইবাদত-বন্দেগী করবে যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ, যদি তুমি তাকে না ও দেখ, তাহলে ভাববে তিনি তো আমাকে দেখছেন।" [সহীহ মুসলিম, ইফাবা, হাদীস নং-০১]
আল্লাহ্ তা’আলা আমাদেরকে ইহসানের স্তরে উন্নীত করুন। আমীন।
الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ
”যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়। “ [সুরা মুলক: ৩]
এই আয়াহ’য় উল্লেখ করা হয়েছে আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের মধ্যে কে সর্বোত্তমভাবে কর্মসম্পাদনকারী তা তিনি পরীক্ষা করেন। আর এখানে ব্যবহৃত أَحْسَنُ عَمَلًا ‘র ব্যবহারে তাই প্রতীয়মান হয়; এখানে বলা হয়নি “আকছারু আ’মালা” অর্থ্যাৎ অধিক কর্মসম্পাদনকারী। এখানে ইবাদাহ্’র পরিমাণের চেয়ে গুণগত মানকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। আ’মালের মধ্যে সর্বোত্তম। মুহাম্মদ বিন আজলান এর মতও এটাই। এটা খেয়াল রাখতে হবে যে, আল্লাহ্ তা’আলা বলেননি, “তোমাদের মধ্যে কে বেশী কর্মসম্পাদনকারী”? এরপরেই আল্লাহ্ তা’আলা বলেন,”তিনি পরাক্রমশালী, দয়ালু”। এখানে আল্লাহ্’র পরাক্রমশালীতার পাশাপাশি ক্ষমার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যত্র একটি আয়াত এসেছে:
إِنَّا جَعَلْنَا مَا عَلَى الْأَرْضِ زِينَةً لَّهَا لِنَبْلُوَهُمْ أَيُّهُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا
"আমি পৃথিবীস্থ সব কিছুকে পৃথিবীর জন্যে শোভা করেছি, যাতে লোকদের পরীক্ষা করি যে, তাদের মধ্যে কে ভাল কাজ করে।" [সুরা কাহফ:০৭]
অনুরুপভাবে আমরা হাদীসে জিবরীলে দেখি ইহসানের সংজ্ঞা:
قَالَ: مَا الإِحْسَانُ؟
قَالَ: « ( يَرَاكَ» )أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ
[صحيح البخاري]
"তারপর বললেন, আমাকে ইহসান সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ইহসান হলো, এমনভাবে ইবাদত-বন্দেগী করবে যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ, যদি তুমি তাকে না ও দেখ, তাহলে ভাববে তিনি তো আমাকে দেখছেন।" [সহীহ মুসলিম, ইফাবা, হাদীস নং-০১]
আল্লাহ্ তা’আলা আমাদেরকে ইহসানের স্তরে উন্নীত করুন। আমীন।